ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় সড়ক কেটে নাশি স্থাপন, লবণাক্ততা গ্রাস করবে ৯০ একর ফসলি জমি

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় সদর ইউনিয়নের বকসুচৌকিদারপাড়া পয়েন্টে এলজিইডির মালিকানাধীন সড়ক কেটে নাশি স্থাপন করেছে দুবৃর্ত্তরা। এতে করে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ও দক্ষিন অংশের বিপুল পরিমান কৃষি জমি লবণাক্ততায় গ্রাস হতে চলছে। লবণ পানি ঢুকিয়ে ফসলী জমিতে মাছ চাষ করতে একটি চক্র সড়কের এ অংশ গভীর রাতের আঁধারে কেটে দেয়।

এ সময় সড়কটির বকসুচৌকিদারপাড়া পয়েন্টে কালভার্ট তৈরী করে তারা। কাটাফাঁড়ি নদীর জোয়ারের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জালিয়াখালী রাবারড্যাম সড়ক কেটে ফেলানো হয়। ৫ মার্চ সোমবার রাতে সড়কটি কেটে দেওয়া হয়। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোঁয়াখালী বকসুচৌকিদারপাড়ার মৌলভী আবদু রহিম ও বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ফরহাদুল ইসলাম ছুট্টু গং সড়ক কেটে রাতে নাশি স্থাপন করে।

জালিয়াখালী- রাবারড্যাম সড়কটি যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ন মাধ্যম। জালিয়াখালী, মগকাটা, সিরাদিয়া, বকসুচৌকিদারপাড়া, দিয়াপাড়ার বিপুল জনগোষ্টী এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। সড়ক কেটে দেয়ায় গত ৩ দিন ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা থেমে যায় এ সব এলাকায়। স্থানীয়রা জানায়, ফরহাদুল ইসলাম ছুট্টু গং জমিতে মাছ চাষ করতে লবণ পানির উৎস সৃষ্টি করে তারা।

ভোলাখালের জোয়ারের পানি ফসলী জমিতে ঢুকাতে তারা পলবোট সৃষ্টি করে। জালিয়াখালী-রাবারড্যাম সড়কের কর্তন অংশের পশ্চিম অংশে রুপাইখাল। পূর্ব অংশে লাতুরি বাপের ঘোনা। এ ঘোনায় প্রায় ৯০ একর কৃষি জমি রয়েছে। পানি নিষ্কাশনে রুপাইখালের সাথে বিলের প্রবাহমান খাল আছে। খালের এ অংশে সরকারী কালভার্ট আছে। ৩ চেইন হবে কর্তন অংশ থেকে। ফখরুল ইসলাম গং এ বিলে প্রায় ২৫ একর জমির মালিক। অপর জমি ব্যক্তিমালিকানাধীন। ছুট্টু গংদের জমি বিলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

জমির মালিক আবদুল করিম, জাহাঙ্গীর, রফিকুল ইসলাম, আবুল শামা, ছিদ্দিক আহমদ, আনোয়ারা বেগম, রমজান আলী, খালেদ নেওয়াজ, আতিকুর রহমান, অহিদুল আলম বাদল, আবদু রশিদ, ফয়েজ আহমদ, আরমান, জাফর আলমসহ অনেকে জানায়, তারা লোনা পানি ঢুকিয়ে মাছ চাষ করতে রাতে সড়ক কেটে ফেলে। জোয়ারের পানি দিয়ে মাছ চাষ করবে। নাশি বসানো হয়েছে। বিলের অধিকাংশ জমি আমাদের। তারাও মালিক।

কিন্তু তাদের জমি এক জায়গায় নয়। লোনা পানি প্রবেশ করায় এ জমি লবনাক্ততায় গ্রাস হয়েছে। ফসল নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে। তারা আরো জানায়, ছুট্টু গং আতংক ছড়াতে প্রতিরাতে গুলি ছুটছে। বিলহাসুরা এলাকার অস্ত্রধারী হামিদ এ সবের মুলহোতা। আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। ইউপি সদস্য নুরুল হক সাদ্দাম জানায়, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। আমি চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবহিত করি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পেকুয়ার প্রকৌশলী জাহেদুল আলম চৌধুরী জানায়, বিষয়টি আমি শুনেনি। যেহেতু জানতে পেরেছি কাল অবশ্যই পরিদর্শন করা হবে। সড়ক কেটে নাশি স্থাপন করা যাবেনা। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠকের মতামত: